রানার ডেস্ক | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | পড়া হয়েছে 22 বার
পেঁয়াজের দাম নিয়ে দেশে এখন চলছে আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতির নানা ফুলঝুড়ি। মাঝখানে প্রতিকেজি দেশি পেয়াজের দাম কমে ১৮০ থেকে ৯০ টাকায় এলেও এখন আবার অতিক্রম করেছে ডাবল সেঞ্চুরি। কবে কমবে সেটির নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না।
সংশ্লিষ্টরা এখন বলছেন, আমদানিকৃত বড় চালান দেশে পৌঁছালে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে সে পরিমাণ আমদানি নেই। এছাড়া অন্যান্য বছর এই সময়ে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতো। চলতি বছর বৃষ্টি ও ফলন ভালো না হওয়ায় নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসায় পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এদিকে পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় ভোক্তারাও পেঁয়াজের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছেন। সেই প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায় বড় ও ছোট পাইকাররা অলস সময় পার করছেন। দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা না থাকায় অনেকে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ক্রেতাশূন্য পেঁয়াজের বাজারে অনেকটাই হতাশ কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজের দাম যখন কম ছিল প্রতিদিন আমরা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতাম। এখন ১ হাজার টাকা আয় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, মাঝখানে ১৭ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছি। বাহির থেকে আমদানি পেঁয়াজ আসছে এমন খবরে আমাদের কাছে যা ছিল- যে যার মতো করে কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি। আমার মতো অন্যান্যদের অবস্থাও একই। তাতে আমার ১৭ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায় দেখা যায়, অন্যান্য পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাও অলস সময় পার করছেন। কেউ বসে আছেন আর কেউ বা ঘুমিয়ে পড়েছেন দোকানের মধ্যেই।
ব্যবসায়িরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম কম হলে অধিক বিক্রিতে তাদের লাভও বেশি হয়। আগে যারা পাঁচ-দশ কেজি পেঁয়াজ কিনতেন তারাএক কেজিও নিতেও চাচ্ছেন না।
ব্যবসায়িরা বলছেন, পেয়াজের দামে স্থীতিশীলতা আসা দরকার। যাতে ক্রেতা ব্যবসায়ি উভয়েই উপকৃত হবে পারেন।